ক্রিপ্টোকারেন্সি কী?
ক্রিপ্টোকারেন্সি (ক্রিপ্টো) হলো এক ধরনের ডিজিটাল টাকা। এগুলো ব্লকচেইন নামে একটি প্রযুক্তিতে চলে, যেখানে লেনদেনগুলো নিরাপদ, স্বচ্ছ এবং বিশ্বের যেকোনো জায়গা থেকে করা যায়। সবচেয়ে পরিচিত ক্রিপ্টো কয়েন হলো Bitcoin (BTC), Ethereum (ETH) আর Binance Coin (BNB)।
অনেকে বিনিয়োগ, ট্রেডিং, অনলাইন পেমেন্ট বা ভবিষ্যতের জন্য সম্পদ হিসেবে ক্রিপ্টো ব্যবহার করে। ক্রিপ্টোর দাম ওঠানামা বেশি হলেও অনেক বড় কয়েন সময়ের সাথে ভালো রিটার্ন দেখিয়েছে।
জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সির পুরোনো রিটার্ন
| ক্রিপ্টোকারেন্সি | ১ বছরের রিটার্ন | ৩ বছরের রিটার্ন | ৫ বছরের রিটার্ন | $100 হলে কত হতো |
|---|---|---|---|---|
| Bitcoin (BTC) | ~160% | ~270% | ~680% | ~$780 |
| Ethereum (ETH) | ~95% | ~200% | ~700% | ~$800 |
| Binance Coin (BNB) | ~25% | ~50% | ~1,300% | ~$1,400 |
*এগুলো আনুমানিক হিসাব। ভবিষ্যতে একই রকম রিটার্ন নাও আসতে পারে।
১. একটা ভালো এক্সচেঞ্জ বেছে নিন
ক্রিপ্টো কেনা শুরু করতে হলে আগে একটি বিশ্বস্ত এক্সচেঞ্জ দরকার। Binance সবচেয়ে জনপ্রিয় আর নিরাপদ প্ল্যাটফর্মগুলোর একটি।
অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে এখানে ক্লিক করুন২. অ্যাকাউন্ট তৈরি ও যাচাই করুন
- আপনার ইমেইল বা ফোন নম্বর দিয়ে সাইন আপ করুন।
- নিরাপত্তা বাড়াতে KYC যাচাই সম্পন্ন করুন।
- অ্যাকাউন্ট সুরক্ষার জন্য 2FA চালু করুন।
৩. টাকা জমা দিন
বিভিন্নভাবে আপনি টাকা জমা দিতে পারেন:
- ব্যাংক ট্রান্সফার
- ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড
- থার্ড-পার্টি পেমেন্ট সার্ভিস
৪. যে ক্রিপ্টো কিনবেন সেটা নির্বাচন করুন
Bitcoin (BTC), Ethereum (ETH) আর BNB সবচেয়ে জনপ্রিয় কয়েন। Binance-এর Buy Crypto থেকে আপনার পছন্দের কয়েন বেছে নিন।
৫. অর্ডার দিন
ক্রিপ্টো কেনার কয়েকটি উপায় আছে:
- মার্কেট অর্ডার: সাথে সাথে বাজার দামে কিনে নেন।
- লিমিট অর্ডার: নিজের দাম সেট করুন, দাম সেই লেভেলে এলে অর্ডার এক্সিকিউট হবে।
৬. আপনার ক্রিপ্টো নিরাপদে রাখুন
ক্রিপ্টো কেনার পর সেগুলো নিরাপদে রাখা খুব জরুরি:
- এক্সচেঞ্জ ওয়ালেটে রাখা (সুবিধাজনক কিন্তু কম নিরাপদ)
- সফটওয়্যার ওয়ালেটে ট্রান্সফার করা
- হার্ডওয়্যার ওয়ালেট ব্যবহার করা (সবচেয়ে নিরাপদ)
শুরুর জন্য কিছু টিপস
- আপনি যতটা হারাতে পারবেন শুধু ততটাই বিনিয়োগ করুন।
- ক্রিপ্টো পাঠানোর আগে ঠিকানা ভালো করে মিলিয়ে নিন।
- স্ক্যাম আর ভুয়া লিংকের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।